দিয়ামান্তাকোসের জোড়ায় মোহনবাগানকে হারিয়ে ডুরান্ড সেমিতে ইস্টবেঙ্গল

সায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় / 17-08-2025

দীর্ঘদিন পর যুবভারতীতে জ্বলল মশাল। ডুরান্ড ডার্বির রং লাল-হলুদ। ২-১ গোলে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগানকে হারিয়ে ডুরান্ডের সেমিফাইনালে চলে গেল লাল-হলুদ ব্রিগেড। জোড়া গোলে ডার্বির নায়ক দিমিত্রিয়স দিয়ামান্তাকোস। এদিন ডুরান্ড ডার্বিতে লড়াই ছিলো দুটি স্প্যানিশ কোচের মগজাস্ত্রের। তবে, রবিবাসরীয় ডার্বিতে হোসে মোলিনাকে টেক্কা দিলেন অস্কার ব্রুজো। চোটের কারণে মোহনবাগান পায়নি মনবীর সিং ও কিয়ান নাসিরিকে। মনবীর না থাকা কার্যত ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়ায়। অন্যদিকে, ইস্টবেঙ্গলে ছিলেন না বাসিম মহম্মদ রশিদ। তাঁর পিতৃবিয়োগ হয় শুক্রবার। ডার্বির আগেই দেশে ফিরে গিয়েছিলেন। ডার্বি তাঁকেই উৎসর্গ লাল-হলুদ বাহিনীর। দেড় বছর পর ডার্বির রং লাল-হলুদ। এর আগে ২০২৪ সালের সুপার কাপে ডার্বি জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল।

প্রথমার্ধের শুরু থেকেই চাপ বজায় রাখতে থাকে অস্কার ব্রুজোর ছেলেরা। একের পর এক আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়ে বিশাল কাইথরা। মাত্র ৩ মিনিটের মাথায় সুযোগ নষ্ট করেন ইস্টবেঙ্গলের মরোক্কান স্ট্রাইকার হামিদ।১৯ মিনিটে হামিদ চোট পেয়ে বেরিয়ে যাওয়ায় কিছুটা থিতু হয় ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণ। তবে তা সাময়িক। ইস্টবেঙ্গলের একের পর এক আক্রমণে ত্রাহি ত্রাহি রব বাগান রক্ষনভাগে। ৩৬ মিনিটে আশিস রাই বিপিন সিংকে বক্সের মধ্যে ফাউল করলে পেনাল্টি দেন রেফারি ভেঙ্কটেশ। ঠিক কয়েক সেকেন্ড আগে এডমুন্ডকেও একইভাবে ট্যাকল করেছিলেন অভিষেক সিং টেকচাঁম। কিন্তু তা রেফারির নজর এড়িয়ে গেলেও এক্ষেত্রে তিনি পেনাল্টি দিতে ভুল করেননি। ৩৮ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেন দিমিত্রিয়াস দিয়ামান্তাকোস। প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে আপুইয়া দূরপাল্লার শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই পাসাং দোরজি তামাংকে তুলে জেসন কামিন্সকে নামায় মোলিনা। কামিন্স নামতেই কিছুটা হলেও আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ে। ৪৭ মিনিটে সাহাল আব্দুল সামাদের দুরন্ত শট বাঁচান আর্জেন্টিনিয়ান কেভিন সিবেল্লে। ৫২ মিনিটে মহেশ নাওরেমের বাড়ানো বলে আগুয়ান আলবার্তো রদ্রিগেজের সামনে থেকে ফের গোল করে যান দিমিত্রিয়স দিয়ামান্তাকোস। ২-০ গোলে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল।

৫৭ মিনিটে লিস্টন কোলাসোর ফ্রি কিক পোস্টে লেগে ফিরে আসে। ৬৮ মিনিটের মাথায় কর্নার থেকে ফিরতি বলে দূর থেকে শট মারেন অনিরুদ্ধ থাপা। বল জালে জড়িয়ে যায়। পরের কয়েক মিনিটে আরও কয়েকটা আক্রমণ করে বাগান। কিন্তু কোনও রকমে গোলরক্ষা করে ইস্টবেঙ্গল। এর পর অবশ্য দুই দল একাধিক গোলের সুযোগ পায় কিন্তু ফিনিশিং এর অভাবে কোনও দলই গোল পায়নি। শেষের দিকে দিয়ামান্তাকোস আরও একটা শট নেন। কিন্তু গোল হয়নি। বাইরে মারেন তিনি। ম্যাচের শেষ দিকে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে পড়ছিল। মাথা গরম করছিলেন দু’দলের ফুটবলারেরা। তাতে অবশ্য সুবিধা হয় ইস্টবেঙ্গলেরই। পরিকল্পনা করে আক্রমণ করতে পারেনি বাগান। শেষ পর্যন্ত জিতে মাঠ ছাড়ে ইস্টবেঙ্গল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *