ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে অভিষেকেই ডুরান্ড ফাইনালে ডায়মন্ড হারবার

সায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় / 20-08-2025
যে দল বড় ম্যাচে জেতে পরের ম্যাচেই আটকে যায় সেই দল। আবার ও অরন্যের এই প্রাচীন প্রবাদটিকে সঠিক প্রমাণিত করল ইস্টবেঙ্গল। এদিন ডুরান্ডের সেমিফাইনালে ম্যাচে ডায়মন্ড হারবারের কাছে ২-১ গোলে হার অস্কার ব্রুজোর ছেলেরা। ডায়মন্ড হারবারের হয়ে গোলগুলি করেন মিকেল কোর্তাজা ও জবি জাস্টিন। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে একটি গোল আনোয়ার আলির। শনিবার কিবু ভিকুনার দলের সামনে ফাইনালে প্রতিপক্ষ নর্থইস্ট ইউনাইটেড।
ম্যাচের শুরু থেকেই দুই দলই আক্রমণ ও প্রতি আক্রমণের খেলা শুরু করে। ম্যাচের ৪ মিনিটে প্রথম আক্রমণ শানায় ইস্টবেঙ্গল। ডান প্রান্তিক আক্রমণ থেকে মিগুয়েলের বাড়ানো বলে শট নেয় এডমুন্ড। তা অল্পের জন্য লক্ষ্য ভষ্ট হয়। ৮ মিনিটে
ডায়মন্ডহারবারের হালিচরণ নার্জারির শট কোনও মতে রুখে দেন প্রভসুখান সিং গিল। ১৫ মিনিটে বল তিন কাঠির মধ্যে রাখতে পারেননি মিগুয়েল। ১৮ মিনিট জবি জাস্টিন ফাঁকা গোল গোলকিপারের হাতে তুলে দেন। ২৪ মিনিটের মাথায় স্যামুয়েলের শট পোস্টে গেলে না ফিরলে এগিয়ে যেতে পারত ডায়মন্ড হারবার। ২৫ মিনিটে আনোয়ার আলির দুরপাল্লার শট বাঁচান ডায়মন্ড গোলকিপার মিরশাদ মিচু।
৩৭ মিনিটে লুকার দূরপাল্লার শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। বিরতির ঠিক আগে মহেশের আক্রমণ বাঁচান ডায়মন্ড গোলকিপার। প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয় গোলশূন্য অবস্থায়।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই লালচুংনুঙ্গা ও এডমুন্ডকে তুলে নামানো হয় প্রভাত লাকরা ও জিকসন সিংকে। তাতে অবশ্য কোন লাভ হয়নি কোচ অস্কার ব্রুজোর। ৫৪ মিনিটে মিগুয়েলের কর্নার থেকে বল পেয়ে ফাঁকা গোল পেয়েও বল দিয়ামান্তাকোসের হেড বাইরে চলে যায়। তখনই মনে হচ্ছিলো ঠিক যেন আগের ফর্মে ফিরে এসছেন ডার্বির নায়ক। মাত্র তিনদিন আগেই যিনি ছিলেন নায়ক এদিন যেন বনে গেলেন ভিলেন।
৬৫ মিনিটে মিকেল কোর্তাজার দূর্দান্ত ব্যাকভলিতে এগিয়ে যায় ডায়মন্ড হারবার। ফ্রিকিক থেকে বক্সের মধ্যে বল পেয়ে ব্যাক ভলিতে গোল করেন স্প্যানিশ এই ডিফেন্ডার। তবে বেশি ক্ষণ পিছিয়ে থাকতে হয়নি ইস্টবেঙ্গলকে। ৬৭ মিনিটেই দূরপাল্লার শটে লাল-হলুদকে সমতায় ফেরান আনোয়ার। ৭২ মিনিটে সল ক্রেসপোর জায়গায় মাঠে নামেন রশিদ। রশিদ যখন মাঠে নামেন তখন ইস্টবেঙ্গল গ্যালারি অভিবাদন দিতে ভুল করেননি। কেন না কমিটমেন্ট এর অপর নাম যে তিনিই। পিতৃবিয়োগের কারণে দেশে ফিরে গিয়েছিলেন। ডার্বি খেলতে পারেননি। কিন্তু এদিন ভারতে ফিরেই সেমিফাইনালে নেমে পড়লেন তিনি। ৭৯ মিনিটে মিগুয়েলের বাঁ পায়ের বাঁক খাওয়ানো শট পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। ৮৩ মিনিটে কর্নার থেকে ছিটকে আসা বল গোলে জড়াতে ভুল করেননি লাল-হলুদের প্রাক্তনী জবি জাস্টিন। গোলের পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতেও দেখা যায়নি তাকে। ৮৫ মিনিটে সহজ সুযোগ পেয়েও বাইরে মারেন রশিদ। শেষ মুহূর্তে বিপিন ও প্রভাত লাকরার পরিবর্তে পিভি বিষ্ণু ও ডেভিড লালহানসাঙ্গাকে নামলেও তাতেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। ম্যাচ শেষ হয় ২-১ গোলে। ম্যাচের সেরা ডায়মন্ড গোলকিপার মিরশাদ মিচু।
Tags: East Bengal, Football clubs india, football india, India Football News, Indian Football, Latest Indian Football News