ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে হারিয়ে ইউরোপা লিগ জিতে ইতিহাস গড়লো টটেনহ্যাম

সায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় / 22-05-2025

এই বছর যে সমস্ত ফুটবল ক্লাবগুলি দীর্ঘদিন সাফল্য পায়নি তাদের কাছে এই বছর যেন শাপমুক্তির বছর। ১১৯ বছর পরে ক্রিস্ট্যাল প্যালেসের এফ এ কাপ জয় থেকে শুরু করে ৫১ বছর পরে বোলোনিয়ার ইতালিয়ান কাপ জয়। অন্যদিকে আবার বায়ার্ন মিউনিখে গিয়ে কেরিয়ারের প্রথম ট্রফি জিতেছেন ইংরেজ তারকা স্ট্রাইকার হ্যারি কেন। তবে এবার ১৭ বছর পরে প্রথম কোনও বড় ট্রফি জিতল টটেনহ্যাম হটস্পার। ৪১ বছর পরে এল ইউরোপিয়ান খেতাব। কেরিয়ারে প্রথম কোন বড় ট্রফি জিতলেন সন হিউং মিন।

বুধবার গভীর রাতে স্পেনের বিলবাওয়ে ইউরোপা লিগের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও টটেনহ্যাম। একদিকে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড, যারা কিনা প্রিমিয়ার লিগে মুখ থুবড়ে পড়লেও ইউরোপা লিগে ম্যান ইউর পারফরম্যান্স দেখে আশায় বুক বেঁধেছিলেন ভক্তরা। অন্যদিকে টটেনহ্যাম যারা বরাবর ‘একটুর জন্য’ ট্রফি হাতছাড়া করার জন্য বিখ্যাত হয়ে উঠেছিলো। তবে দু দলের কাছে এদিনের ম্যাচ ছিলো মরশুমের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কেননা প্রিমিয়ার লিগে দুই ক্লাবের অবস্থাই সঙ্গিন। এই ইউরোপা লিগ জিতলে যেমন ক্লাবে ট্রফি আসবে তেমনই খুলে যাবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের রাস্তা।

এমতো পরিস্থিতিতে খেলতে নেমে প্রথমার্ধের বেশিরভাগ সময় দুদলই ভূরি ভূরি মিস পাস, মাঝমাঠে নিজেদের মধ্যে বল চালাচালি করেই কাটল বেশিরভাগ সময়। বলের দখল ইউনাইটেডের হাতে বেশিরভাগ থাকলেও খেলার গতির বিপরীতে গিয়ে ৪২ মিনিটে অনবদ্য গোল করে স্পারসকে এগিয়ে দেন ব্রেনান জনসন। এক গোলে পিছিয়ে পড়ে একের পর এক আক্রমণ, একের পর এক শট নিতে থাকে ইউনাইটেড ফুটবলাররা। গোলের পর সেভাবে বলের দখলই পায়নি টটেনহ্যাম। কিন্তু ইউনাইটেড ৮৪ শতাংশ বলের দখল রেখেও কাজের কাজটা করতে পারেনি। গোটা ম্যাচে একবারও টটেনহ্যামের জালে বল জড়াতে পারেনি রেড ডেভিলরা। ম্যাচ শেষ হয় ১-০ গোলে।অবশেষে ১৭ বছরের প্রতীক্ষার অবসান ঘটল। উয়েফা ইউরোপা লিগের খেতাব জিতল টটেনহ্যাম।

২০০৮ সালে শেষবার ট্রফি জিতেছিল টটেনহ্যাম। ১৭ বছরের খরা কাটালেন সন হিউং মিনরা। মহাদেশীয় স্তরে স্পারসের শেষ ট্রফি সেই ১৯৮৪ সালে। অর্থাৎ ৪ দশক বাদে মহাদেশীয় স্তরের ট্রফিও জিতল তারা। অন্যদিকে ইউনাইটেড যেন আরও অন্ধকার ভবিষ্যতের দিকে। এ বছরও তাদের মরশুম শেষ হল ট্রফিহীনভাবে। প্রিমিয়ার লিগ পয়েন্ট টেবিলেও তারা সেই তলানিতেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *