মিউনিখের মাটিতে রোমান সাম্রাজ্যের পতন ঘটিয়ে ফরাসি বিপ্লবের সূচনা

সায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় / 01-06-2025
শেষবার ইটালিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ঢুকেছিল ১৬ বছর আগে। ইন্টার মিলানের হাত ধরেই। ফ্রান্সের কোনও ক্লাব জিতেছিল ৩২ বছর আগে। মার্সেইয়ের পর বহুবার চেষ্টা করেও আর কোনও ফরাসি ক্লাব বিপ্লব ঘটাতে পারেনি। অবশেষে নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতল প্যারিস সাঁ জাঁ। মিউনিখের ফাইনালে ইন্টার মিলানকে কার্যত মাটি ধরাল ৫-০ গোলে হারিয়ে। ইউসিএলের ফাইনালে এর আগে এরকম আধিপত্য দেখা যায়নি।
ফরাসি লিগে বরাবরই দাপট পিএসজি’র। অধরা ছিলো চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। যার জন্য মেসি-নেইমার-এমবাপের ত্রিফলাও জড়ো করেছিল ফ্রান্সের এই ক্লাব। এই তিন মহাতারকা যা করে দেখাতে পারেনি, সেই অসাধ্যসাধন করে দেখাল লুইস এনরিকের ছেলেরা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সফরের শুরুটা ভালো না হলেও শেষটা হল হাসিমুখেই। মিউনিখের ফাইনালে ১২ মিনিটে পিএসজি’কে এগিয়ে দেন আচরাফ হাকিমি। ২০ মিনিটে দ্বিতীয় গোল দেসিরে দুয়ের। ফুটবল মহলে বিস্ময় প্রতিভা লামিনে ইয়ামালকে নিয়ে যতটা চর্চা হয়েছে, তার তলায় ঢাকা পড়ে গিয়েছেন ১৯ বছরের এই ফরাসি প্রতিভা। সম্ভবত সেরার মঞ্চে সেটারই জবাব দিলেন।
৫৪ মিনিটে বাধ্য হয়েই ডিফেন্ডার ডিমার্কোকে বসাতে বাধ্য হন ইন্টার কোচ ইনজাঘি। মূলত তাঁর দিক থেকেই দুটি গোল হজম করে ইটালির ক্লাব। কিন্তু তাতেই বা পালটা আঘাত দেওয়া হল কোথায়? বরং ৬৩ মিনিটে ফের গোল দুয়ের। ৭৩ মিনিটে ৪-০ করেন খিভিচা কাভারাস্কেলিয়া। জর্জিয়ার এই তারকা এর আগে নাপোলির হয়ে ইটালি সেরা হয়েছিলেন। ফ্রান্সে এসেও ফুল ফোটাচ্ছেন। ৮৬ মিনিটে ইন্টারের কফিনে শেষ পেরেকটি পোঁতেন সেনি মায়ুলু। এর আগে ১৯৯৩-৯৪ মরশুমে এসি মিলান চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছিল ৪-০ গোলে। আর তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইন্টার এবার গড়ল ফাইনালে সবচেয়ে বেশি গোলে পর্যুদস্ত হওয়ার লজ্জার রেকর্ড। আর অবশ্যই বলতে হয় লুইস এনরিকের কথা। তাঁর কোচিংয়ে ত্রিমুকুট জিতল পিএসজি। এর আগে বার্সেলোনাকে ত্রিমুকুট দিয়েছিলেন। দুটি ক্লাবের হয়ে ট্রেবল জেতার একমাত্র নজির এখন এনরিকের হয়েই।
Tags: Football News